Rose Good Luck পেন্সিলে লিখা বাবার ডায়েরি (ধারাবাহিক উপন্যাসঃ পর্ব-২৫) Rose Good Luck

লিখেছেন লিখেছেন মামুন ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১২:১১:৫৩ দুপুর

মিথিলা বাবু!

'বিরুদ্ধ মতের প্রতি শ্রদ্ধা ' ব্যাপারটা ভালো করে বোঝা খুব দরকার। যে কোন লড়াইয়ে যে দুটি পক্ষ থাকে তার একপক্ষ ন্যায় আর অন্য পক্ষ অন্যায়ই হয় সাধারণত। জানবাজ লড়াকুরা প্রত্যেকেই নিজেকে ন্যায়ের পক্ষে কল্পনা করে। ন্যায় অন্যায় মাপের মানদন্ডটার উপর এই ফয়সালার ঠিক বেঠিক নির্ভর করে।

সমাজে সবলেরা দুর্বলের ওপর অত্যাচারের যুক্তি হিসাবে দুটি ব্যাপার উল্লেখ করে। এক, যারা সবল হবে না তারা দুর্বল হবে, সবলের অত্যাচার সইতে হবে। দুই, তাদের যোগ্যতা আছে বলেই তারা সবল, যাদের যোগ্যতা নেই তারা ও যোগ্য হলে একই কাজ করবে। এসব নীতি মনুষ্যত্বের প্রমান বহন করে কিনা তা তাদের যাচাই করার সময় নেই। যে কোন প্রকারে নিজেকে টিকিয়ে রাখার অধিকার মানুষের আছে এই বিশ্বাস তাদেরকে এমন নির্লজ্জ আর বেপরোয়া করে। কিন্তু, এই বিশ্বাস কি ঠিক?

কোন কারণে কি এভাবে খুন খারাবির লাইসেন্স কারো প্রাপ্য হয়?

এই যে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এইই কি চেয়েছিলাম আমরা? যে একটি ফুলকে বাঁচাবে বলে যুদ্ধ করেছিল এ দেশের মানুষ সেই ফুলটিকে কি বাঁচানো গেল? বিশ্বের সামনে আমাদের পরিচয় কি? সেই ৭১ থেকে আজ পর্যন্ত এতগুলি বছরে এ দেশের মানুষের মুক্তি কি হল? এই যে চরম হানাহানি, খুন রাহাজানি, মিথ্যার রাজনীতি এগুলো সরকারি ও বিরোধী দল যে করছে সেটা তাদের মন ও মননে মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নেই বলেই। সবাই সবাইকে যার যার বিরুদ্ধ মতের জন্য এক একজন প্রতিপক্ষ চিহ্নিত করছে, মানুষ হিসেবে বিবেচনা করছে না। তাই ই এতো সহজে একজন অন্যজনকে আঘাত করতে বা মেরে ফেলতে পারছে। সত্য। এসব থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে দেখলেই পুরো চিত্রটার অস্বাভাবিকতা আর অসারতা পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু সেই অল্প বয়সে আমার ও অনেক অযৌক্তিক আবেগকে যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। অন্তত ধ্বংসগুলি নিজের চোখে দেখার আগে তাদের আশ্রয় আমারতো ভালোই মনে হয়েছিল!

এলোপাথাড়ি ভাবনার বানে জর্জরিত হচ্ছিলাম। মীটিং গুলি আমার চিন্তার জগতে ঝড় তুলতে শুরু করেছিলো। এক একবার সিদ্ধান্তগুলি এক এক দিকে ঝুঁকে পড়ছিলো। এই অদৃশ্য ঝড় তুফানে এলোমেলো হয়ে হয়ে আবার গুছিয়ে উঠতে থাকত চিন্তাগুলি। আবার এলোমেলো হয়ে যেত। মনের এমন অবস্থায়ই নিয়তি আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল সেই অতলে, যেখানে দলের আর সবাই যাচ্ছিল। সেদিন বুঝিনি। আমরা যারা একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতাম, কিম্বা সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতাম, তাদের মধ্যে স্পষ্ট তিনভাগ ছিল। একদল প্রতিশোধের নেশায় উন্মাদ, একদল দিন বদলের স্বপ্নে বিভোর, তৃতীয় দল রাজনীতিবিদের দল। শেষ দলটাই পরগাছা। বাকি দুই দলের স্পিরিটকে ব্যবহার করে লকলকিয়ে বেড়ে ওঠা শোষকদল। ছদ্মবেশের আড়ালে সেই সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণী, যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করার নামে আসলে বলি দেয়া আর দেয়ানো হচ্ছিল। ঘুনাক্ষরে যদি টের পেতাম!

মীটিং এ গলাকাটা আতিককে দেখি, টিংকুকে মনে পড়ে। অসম্ভব দারিদ্র্য আর ক্ষুধা, অসুখ বিসুখের পর ও বুক দিয়ে পরিবারকে আগলে রাখার সহজ সাহসী সেই নরম মনের ছেলেটা! ওর কঠিন চোয়ালের দিকে তাকিয়ে তাকে পাই কি? প্রয়োজনের তীব্র তাপে গলে সে অস্ত্রের রূপ পেয়েছিল। দল তাকে ঘষে মেজে ধারালো করেছে। মানুষের গলা কাটার জন্য! টিংকু কি ভাবত সে কোন অন্যায়ের গলা কাটছে! যারা জীবন দিয়ে, সহায় সম্বলের শেষটুকুও দিয়ে তার হিংস্রতার ক্ষুধা মিটিয়েছিল তাদের মধ্যে আর কোন টিংকু কি ছিল না - যে পরে কোনদিন নতুন এক গলাকাটা আতিক হয়ে উঠবে! বিশ্বাসের ও উত্তরাধিকারী থেকে যায়।

যখন শুধু জাহিদ ছিল তখন টাক জাহিদের পরিবার কেমন ছিল? জাহিদের 'টাক জাহিদ 'হয়ে ওঠার ইতিহাসের পথ ধরে পিছনে ফিরে দেখি। অবাক লাগে।

আমার বাসায় গেলাম।

গেটের ভিতরে পা রাখার আগে রাস্তার ওপর দিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম।

গেট পার হয়ে মন যাদুর মত অজান্তেই কেমন বদলে গেল। আমাকে এগিয়ে দিয়ে গেটের বাইরে থেকে যেন নিজের ভিতরের বিপ্লবী তরুণ চলে গেল। নিতান্তই সহজ এক সাধারণ পড়ুয়া ছেলে যেন ছুটিতে নিজ পরিবারের কাছে এল।

আমাকে দেখে বিলুর মা, বিলু, বাদল, চাঁপা সবাই খুব খুশি হলো। দু'তিন দিন থাকার ইচ্ছা বাবাকে আগের সপ্তাহে জানিয়েছিলাম। ছোট খালা ফিরে গেছেন। বলে গেছেন সপ্তাহের শেষে আবার আসবেন। বাবা তখনো বাইরে। মা বাদলের রুমে ঘুম। আমি নিজের রুমে ব্যাগ রাখতে গিয়ে আমার বিছানায় ছোটখালার নাম সই করা একটা বই পেলাম। হুমায়ুন আহমেদ এর 'আমার আছে জল'। মা বাদলকে নিয়ে ছোট রুমে চলে যাওয়াতে বোধ হয় খালা এই ক'দিন আমার রুমে ছিলেন। বাবা একা থাকেন, তা বিলুর কাছ থেকে শিওর হলাম। ওকে এসব জিজ্ঞেস করতে দেখে বিলুর মা একসাথে অনেক কথাই বলল। একদিন বাদলের শরীর খুব বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেদিন দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর মা বাদলকে নিয়ে ছোট রুমে চলে গেছেন। তারপর থেকে শক্ত মুখ করে একা একা থাকেন। যখন তখন ঘুমিয়ে যান। বাদলের ওষুধের আর খাওয়ার টাইমটা কি করে যেন একদম ঠিক রাখেন। কথা শেষে মত জানানোর মত স্বরে বলল, 'ভাই, পুরুষ মানুষ একলা থাকা খারাপ।'

আমার মাথা ঝিমঝিম করতে থাকল। কিন্তু ওকে বকতে পারলাম না। না শোনার ভান করলাম। বয়ষ্ক অভিজ্ঞ মহিলা মুখ ভার করে চুপচাপ সরে গেল।

সন্ধ্যার পর মায়ের ঘুম ভাংগার পর দেখা করতে গেলাম। কেন যেন মায়ের হাতটা ধরতে খুব ইচ্ছে হল। মা বিছানায় বসে ছিলেন। আমি মোড়া টেনে বাদলের হুইল চেয়ার আর বিছানার মাঝখানে বসলাম। মা মাথা নিচু করে বসে রইলেন অনেক ক্ষণ। এক সময় টপ টপ করে বড় বড় ফোটায় পানি পড়তে থাকল চোখ দিয়ে। এরপর তিনি হাতটা দিয়ে আমার হাতটা এত জোরে আঁকড়ে ধরলেন, আমার মনে হল সব নখ গেঁথে যাবে। আমি দাঁড়িয়ে অন্য হাতটা মায়ের পিঠে রাখলাম। ধীরে ধীরে ডাকলাম, 'আম্মা! ' তিনি চোখভরা পানি নিয়ে তাকালেন। বললাম, ' কয়েকটা দিন থাকবো।'

মা আস্তে আস্তে আঁচলে চোখমুখ মুছলেন। দরজায় বিলুর মা দাঁড়িয়ে ছিল। মা বিছানা থেকে নেমে বাদলের পাশে দাঁড়ালেন। ওকে একটু আদর করে দিয়ে বিলুর মাকে সাথে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলেন। বিলুর মা প্রথমে অবাক হল,পরে খুশিতে হাসতে শুরু করল। আমি বাদলের পাশে বসলাম। কষ্টের ভাগ নিতে পারিনা। কষ্ট যদি কিছুক্ষণ ভুলিয়ে রাখতে পারি!

বাদলকে দেখে সেই মূহুর্তে মনে হচ্ছিল না ওর কোন কষ্ট আছে। মানুষ এক সময় সব পরাজয়কেই পরাজিত করতে শেখে!

দুই ভাই অনেক ক্ষণ গল্প করলাম। আগের দিন বাদলের স্কুল থেকে কয়েকজন টীচার ওকে দেখতে এসেছিলেন। ওর বন্ধুরাও নিয়মিত আসে। ও পড়ালেখা কিভাবে চালিয়ে যেতে পারে তা নিয়ে উনারা যা বলেছেন অনেক উৎসাহ নিয়ে তা বড় ভাইকে বলল সে। এক সময় ক্লান্ত হয়ে গেল। মা এসে ওষুধ আর রাতের খাবার খাইয়ে ওকে ঘুমের ব্যবস্থা করে গেলেন।

আমার মাথায় একটা প্ল্যান এলো। মা রাগ করতে পারে জেনেও বিলুর মা কে ডেকে বাদলের রুম থেকে মায়ের শাড়িগুলি নিয়ে বাবা মায়ের বেডরুমে আলনায় রেখে দিলাম। ছোট বোনটার কাপড় গুলি বাদলের রুমেই থাকল। বিলুর মাকে বললাম রাতে বাদলের রুমে বোনের সাথে থাকতে। বোনের মাস্টার এসে পড়িয়ে তখন ড্রইং রুমে। খেলনাপত্র সাজিয়ে খেলছে। রুমটাতে কিছু ফুল রাখতে খুব ইচ্ছে হল। কোথায় পাবো? পাশের বাড়িতে একটা বাগান আছে। রাতে ফুল দেবে মনে হল না। বিলুকে দিয়ে বাইরের বারান্দা থেকে মানিপ্ল্যান্ট এর লতাটা আনিয়ে নিলাম। কাঁচের অকেজো ১০০ ওয়াটের ইলেকট্রিক বাল্বে পিলারে বেঁধে ঝুলানো ছিল। পাতলা রশি দিয়ে ওই রুমের জানালায় বেঁধে দিলাম। বিলুকে বললাম বাবার বিছানায় নতুন চাদর আর বালিশের কভার দিয়ে রুমটা ঝেড়ে মুছে পরিষ্কার করে দিতে। বিলুর মা দুই একবার পিঁয়াজ রসুন নিতে এসে সব দেখে গালভরে হাসল।

নিজের রুমে বিছানায় বসে ভাবতে লাগলাম, এবার কি করা দরকার? অনেকদিন পর বুকের ভিতরে ব্যথা করে উঠল। লাভলি! ও যদি এখানে থাকত! ও তো মাকে বাবার কাছে দিয়ে আসতে পারত। অথবা দাদী। কেমন আছে দাদী?

ষড়যন্ত্রকারীর মত অনুভুতি নিয়ে বাবার ফিরে আসার অপেক্ষা করতে লাগলাম। বেশ টেনশন হচ্ছিল। কিভাবে নেবে?

প্রায় সাড়ে নয়টায় বাবা ফিরলেন। রুমে ঢোকার সময় বিষন্ন চেহারাটা একপাশ থেকে দেখলাম আমার বিছানা থেকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই উপচে পড়া লাজুক হাসিমুখে রুম থেকে বের হয়ে ডাইনিং টেবিলের দিকে যেতে দেখলাম বাবাকে। ওখান থেকেই বাবা আমাকে দেখলেন। স্বভাবের বাইরে একটু উঁচু গলায় বললেন। 'এসেছো? ' আমি বাবার লজ্জা আর হাসি দেখে হো হো করে হেসে ফেললাম। বাবা তাড়াহুড়া করে অন্যদিকে তাকিয়ে এলোমেলো কি যেন বলে টেবিল থেকে পেপার নিয়ে ড্রইংরুমে চলে গেলেন। মা ব্যাপার বুঝলেন খাওয়ার পর বাদলের রুমে গিয়ে। কাপড় খুঁজে না পেয়ে। বিলুর মা খোঁজ জানিয়ে সরে গেল। আমি জানি পরিষ্কার কাপড় না পরে মা ঘুমাতে পারে না। মাকে এখন বাবার রুমে গিয়ে কাপড় আনতে হবে। মনে হল, ষড়যন্ত্র সফল।

একটু অপরাধী লাগল নিজেকে, তবু হাল্কা হলাম। এই ছেলেমানুষী করে ছেলেমানুষী সুখে হাসলাম।

বাসায় এসে লাভলিকে মূহুর্তে মূহুর্তে মনে পড়ছিল। লাভলি কি তা অনুভব করল? জানি না। হলে ফিরেই অনেকদিন পর ওর একটা বারো পাতার চিঠি পেলাম। হঠাৎ একটা অদ্ভুত অনুভুতি আমার সারা শরীরে বয়ে গেল। মনে হল, যা কিছুই সে লিখে থাকুক, আমাকে লিখেছে - ঘন্টার পর ঘন্টা বসে!

রুমে এসে নিজের বিছানায় পিঠের নিচে বালিশ দিয়ে বসে আরাম করে পড়তে শুরু করলাম। স্বপ্ন থেকে আছড়ে মাটিতে পড়লাম।

বিস্বাদ জীবনের হতাশা কেবল! খুলনা শহরের অত্যাচারি পরিবারের ভিতরের খোকলা অবস্থা। দৈন্য দশা। এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একবার পড়তে আমার রাত হয়ে গেল। ডলি চাচী শেষ পর্যন্ত ওর চাচাকে ডিভোর্স দিয়ে দেশের বাইরে চলে গেছে। ছেলেও পায়নি ওর চাচা। মদ আর সিগারেটে ডুবে দিনের বেশিরভাগ কাটাচ্ছে। মাস্তানি করে বিভিন্ন এলাকা থেকে তোলা চাঁদার পাহাড় ভাগাভাগি নিয়ে ওর চাচাদের দুই ভাই আর তাদের আরেক শিষ্য, যে এসব তাদের জন্য কালেক্ট করে সে -তিনজনে হাতাহাতি করে হাত ফস্কে গুলি বেরিয়ে ওই ছেলের চোখ চলে গেছে। সে হুমকি দিয়েছে - সেরে উঠে দেখে নেবে।

দেখলাম, লাভলি তার বাবাকে কোথাও বাবা বলে উল্লেখ করেনি। বলেছে' লোকটা'! ঘৃণা! একজন মানুষ যদি তার সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার অধিকার হারায়, তার আর কিছু থাকার অর্থ থাকে! আব্বার কথা ভাবলাম। এক সময় এই ভুল আমিও করেছি। বাবাকে কষ্ট দিয়েছি। কিন্তু লাভলিকে দোষ দেয়া যায় না। অমন অমানুষের পরিচয়ে পরিচিত হতে যে কেউ নিজেকে ছোট বোধ করতেই পারে।

চিঠির পরতে পরতে দোর্দন্ডপ্রতাপ দুর্ধর্ষ লোকগুলির ঘুনে খাওয়া অপমানিত, অবহেলিত, শূন্য জীবনের অসারতার চিত্র। এলাকার লোকের ভয়কে তারা যতটা উপভোগ করেছে তাদের বংশধরেরা সেই ভয়ের আরেক সাইড দেখছে। তার নাম ঘৃণা! এলাকাবাসীর ঘৃণার সহজ টার্গেট তাদের সন্তানেরা। নিজের জীবনের ওপর বীতশ্রদ্ধ লাভলির চিঠির শেষ লাইনটা পড়ে খারাপ লাগল। লিখেছে -' অসহ্য এই জীবন! কোথায় জন্মালাম! আমিতো সব জেনেই তাকে ভালোবেসেছিলাম। মায়া হল। সে তো নিজ ইচ্ছায় এই পরিবারে জন্মায়নি। অথচ লোকের ঘৃণা আর প্রতিশোধের শিকার সে।

(ক্রমশঃ)

বিষয়: সাহিত্য

৯৯৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

302934
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:০৮
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:১৫
245009
মামুন লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File